সোহরাওয়ার্দী বনাম বঙ্গবন্ধু (হার্ডকভার)
সোহরাওয়ার্দী বনাম বঙ্গবন্ধু (হার্ডকভার)
৳ ৩৫০   ৳ ২৯৮
১৫% ছাড়
2 টি Stock এ আছে
Quantity  

তথ্য সাময়িকী সালতামামি – ২০২৩  অর্ডার করলে সাথে সালতামামি ২০২২ ফ্রি

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

১২ মাসের তথ্য সাময়িকী (জানুয়ারী – ডিসেম্বর, ২০২৩)  এখন ৬০% ছাড়ে

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনৈতিক মহলের সকলে গুরু-শিষ্য হিসেবে জানেন। এমনও বলা হয় যে, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সোহরাওয়ার্দীর মানসপুত্র। সোহরাওয়ার্দীর জীবিতাবস্থায় (মৃত্যু ১৯৬৩) বঙ্গবন্ধু তাঁর নির্দেশ শিরোধার্য করে চলেছেন। একমাত্র তাঁর মৃত্যুর পর তিনি তাঁর মতাদর্শ নিয়ে নড়েচড়ে দাঁড়ান। গবেষণায় দেখা যায়, এসব বক্তব্য সম্পূর্ণ সঠিক নয়। দুজনের মধ্যে মিল যেমন ছিল, অমিলও ছিল প্রচুর। আর সে অমিল হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গির, আদর্শের ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৌলিক প্রশ্নে। বঙ্গবন্ধু অনেক বিষয়ে তাঁর মতামত সোহরাওয়ার্দীর জীবদ্দশায়ই প্রকাশ করেছেন। বঙ্গবন্ধু অকুতোভয় ও স্পষ্টবাদী বলেই তা সম্ভব হয়। তবে এ কথা কিছুটা ঠিক যে, সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর বঙ্গবন্ধুর পক্ষে তাঁর নিজস্ব পূর্ণ ভাবনা-চিন্তা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সহজতর হয়। কেননা, সোহরাওয়ার্দীকে বঙ্গবন্ধু পিতৃজ্ঞানে দেখতেন। অন্যদিকে, ভিন্নতা বা মতভেদ থাকার পরও মৃত্যুর পূর্বদিন পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী বঙ্গবন্ধুকে পুত্র স্নেহে আগলে রেখেছেন। উভয়ের মধ্যে মতভিন্নতা থাকার পরও তা কখনো বিরোধ বা বিচ্ছেদে রূপ নেয়নি। তাঁদের পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্পর্ক খুবই অদ্ভুত ও ব্যতিক্রমধর্মী।
মুখবন্ধ, ৫টি অধ্যায় ও উপসংহার নিয়ে গ্রন্থটি পরিকল্পিত। এটি পাঠে পাঠকবর্গ উত্থাপিত বিষয়সমূহ সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারবেন। আশা করা যায়, সোহরাওয়ার্দী বনাম বঙ্গবন্ধু গ্রন্থটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

Title : সোহরাওয়ার্দী বনাম বঙ্গবন্ধু
Author : হারুন-অর-রশিদ
Publisher : পাঠক সমাবেশ
ISBN : 9789849549567
Edition : 1st Edition, 2021
Number of Pages : 122
Country : Bangladesh
Language : Bengali

অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ (জন্ম: ২৭ অক্টোবর ১৯৫৪) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুইবারের উপাচার্য (২০১৩-২০২১)। এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে সিলেকশান গ্রেডের একজন অধ্যাপক ও উপ-উপাচার্য (২০০৯-২০০১২) নিযুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ‘বাংলাদেশ স্কাউটস, রোভার অঞ্চল’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। জন্ম পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার আইরন গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার বি.এ. (অনার্স) এবং মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। পরে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডব্লিউ এইচ মরিস-জোনস-এর তত্ত্বাবধানে ১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি সুইডেনের উপসালা (শান্তি ও সংঘাতের উপর) ও জাপানের রিউকোকু (কিওটো) বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করেন। ১৯৪৭-পূর্ব ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাধীন অবিভক্ত বাংলা, পাকিস্তানি শাসনকাল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, সমসাময়িক ভারত ও বাংলাদেশের রাজনীতি, এর গতিধারা ও রাজনৈতিক উন্নয়ন’ তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র। বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র গঠন সব সময় তাঁর গবেষণার কেন্দ্রীয় বিষয়। তাঁর গবেষণা-গ্রন্থের মধ্যে The Foreshadowing of Bangladesh 1906-1947 (fourth edition, UPL 2015), Inside Bengal Politics 1936-1947 : Unpublished Correspondence of Partition Leaders (second edition, UPL 2012), বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনর্পাঠ (ইউপিএল ২০১৩), বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন বাংলাদেশের . অভ্যুদয় (আগামী প্রকাশনী ২০০৩), বাংলাদেশ : রাজনীতি সরকার ও শাসনতান্ত্রিক উন্নয়ন ১৭৫৭-২০০০ (নিউ এজ পাবলিকেশন্স ২০০১), “আমাদের বাঁচার দাবী’ : ৬ দফার ৫০ বছর (বাংলা একাডেমি ২০১৬), মূলধারার রাজনীতি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কাউন্সিল ১৯৪৯-২০১৬ (বাংলা একাডেমি ২০১৬), ৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব ঐতিহ্য-সম্পদ : বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ, (বাংলা একাডেমি ও অন্যপ্রকাশ ২০১৮) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রফেসর হারুন-অর-রশিদ বর্তমানে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া’ (২০ খণ্ড) রচনা প্রকল্পের প্রধান হিসেবে গবেষণাকর্মে নিয়োজিত। বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য ২০২১ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]